Preview
প্রশ্ন করুন

বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।

...বিস্তারিত

রিনি  আমার একটা টুনটুনি পাখি আছে.

মহাগুরু

আমাদের দেশে পারিবারিক নাম, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি খুব কমই রাখা হয়...কিছু কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে...অন্যানো মুসলিম দেশে যেমন অবশ্যই তাদের পারিবারিক নাম/বাবার নাম সাথে রাখে...কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে এমন ধারা তেমন টা চোখে পরেনা... ইদানিং বললে ভুল হবে, ৮০ এর দশক থেকে শিক্ষিত মেয়েদের মধ্যে নিজেদের নামের শেষে পারিবারিক নামের বদলে কিনবা নিজের নামের শেষাংশের বদলে, স্বামীর নামের কোনো একটি অংশ জুড়ে নেয়াটা দেখা যায়...যেমনটি..সংগীত শিল্পী শাকিলা জাফর কিনবা, নাট্যাভিনেত্রী লাকি ইনাম এমন কিছু উদাহরণ.. ব্যক্তিগত ভাবে আমি এটাকে যার যার ব্যক্তিগত বেপার মনে করি..হয়ত তারা স্বামী'র পরিচয়ে পরিচিত হতে চান, কিনবা স্বামী'র প্রতি তাদের ডেডিকেশন টা প্রকাশ করেন এভাবেই...হতেই পারে...তবে আমার নামের শেষে বাবা'র নাম কখনো ছিলনা....থাকলেও বাবার জায়গায় আমি স্বামী'র নাম কখনই বসতাম না...বাবার নাম সরিয়ে স্বামী'র নাম আমি ঠিক মেনে নিতে পারবনা...কিন্তু অন্যদের দর্শন কে সম্মান অবশ্যই জানাই..ধন্যবাদ...

সুরাইয়া  The sunflower is mine, in a way....

মহাগুরু

এই নাম পাল্টানোর কালচার মুসলিমদের জন্য না। বিয়ের পর নারীদের নাম থেকে বাবার নাম বাদ দেয়া ইসলাম সমর্থন করেনা। তাই বিয়ের পরেও মেয়েদের নামের শেষাংশে বাবার নাম রাখাটাকেই সমর্থন করি।

ছায়াসঙ্গী  

মহাগুরু

জন্মের সময় বাবার উপাধি গ্রহণ এবং বিয়ের পর স্বামীর উপাধি গ্রহণ একটি সার্বজনীন ঐতিহ্য নয়. এই উপাধি গ্রহণ মূলত ইংলিশ কালচার এর অংশ. ইংলিশ ঔপনিবেশিকরা আমাদের দেশে এই ঐতিহ্য নিয়ে আসেন ঔপনিবেশিক আমলে আর ১৯২০ সালের দিক থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে শেষ নাম পরিবর্তন জনপ্রিয় হতে থাকে. ইংলিশদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ঐতিহ্য পরবর্তিতে আইনগত ও গতানুগতিক ব্যবস্থার সঙ্গে মিলে যায়. এই নাম পরিবর্তন প্রক্রিয়া একজন নারীর যে নিজস্ব একটি পরিচয় আছে তা হাইলাইট করে না আর তাই আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় নারীর আত্মমর্যাদা আর অবদান বাড়ার সাথে নাম পরিবর্তন এখন মোটামুটি একটি ঐচ্ছিক বিষয়. তাছাড়া নানা রকম প্রশাসনিক জটিলতা, অধিক মাত্রায় পিতৃপরিচয় হীন শিশু জন্মগ্রহণ, বিবাহবিচ্ছেদ পরবর্তী নাম নিয়ে জটিলতা ইত্যাদি নানা বিষয় মাথায় রেখে এখন অনেকেই নাম পরিবর্তনের পক্ষে না. কোনো ধর্ম এই নাম পরিবর্তন সমর্থন করে না. কিন্তু নারীবাদী অথবা যুক্তিবাদী প্রতিষ্টিত মহিলাদের কাছে বিষয়টি বর্জনযোগ্য হলেও অনেক রোমান্টিকবাদী মহিলারা নিজেদেরকে আরেকজনের অংশ হিসেবে তুলে ধরতে অথবা কোনো পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করতে গৃহীত নাম ব্যবহার করতে ভালবাসেন. আধুনিক সম্পর্কের গতিবিদ্যা পরিবর্তন আর সেই সাথে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ যেহুতু নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে এখন অনেক উদার, তাই বিষয়টি এখন মোটামুটি ঐচ্ছিক ব্যবস্থা হিসেবে দেখা উচিত.

মকসুদা হালিম  জন্ম আমার শ্রাবণ মাসে, পূর্ণিমার রাত-- / ফুলের বাগান গড়ে ওঠে যেদিক বাড়াই হাত !

পন্ডিত

আমি এটা মোটেও সমর্থন করি না । আমার যখন বিয়ে হয় , তখন আমার বয়স ছিলো খুবই কম । মাত্র ১৪ বছর ৪ মাস । আমার স্বামী যখন আবার স্কুলে ভর্তি করেন --তিনি আমার নামের সাথে নিজের নামটা যুক্ত করে দিয়েছিলেন । তখন খুব ছেলেমানুষ ছিলাম । মনে হয়েছে , 'আহা তিনি আমাকে কত্ত ভালবাসেন ।' সার্টিফিকেটে আমার এই নাম । পরিবর্তন করা সম্ভব না । এখন বুঝি একজন মানুষের নিজস্ব পরিচয় থাকা অবশ্য উচিৎ । পিতার বা স্বামীর নাম ধারণ , মানুষের ব্যক্তিত্বকে খর্ব করে । আর পিতার বংশগত পদবী মুসলিম নারী-পুরুষের কখনোই পরিবর্তন হয় না ।

রবিন পথিক  নিজেকে খুব ভাল করে চিনি। অন্যকে চিনার বাকী

পন্ডিত

এই নিয়মটা আমার কাছে বিচ্ছিরি একটা সংস্কৃতি মনে হয়। একটা মেয়েকে তার বাপ জন্ম দিল, পেলেপুষে বড় করল, লেখাপড়া শেখালো, বিয়ে দিল আর তাকে কিনা আজকে একটা স্বামী পেয়ে বাপের নাম বাদ দিয়ে দিতে হবে?!

পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো স্বামী কে ছিল বলেন তো? রাসূল (সা), তাইনা? অথচ আয়শা (রা)’র নাম তো মিসেস আয়শা মুহাম্মাদ ছিলোনা! তাঁর নাম বিয়ের আগে পরে আয়শা বিন্ত আবু বকরই ছিল। নাম পরিবর্তন করে ফেলা আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতি না। আমরা এতোটা অকৃতজ্ঞ নই। স্বামীর সাথে সম্পর্ক তিনটা শব্দ উচ্চারণ করলে পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু বাপের সাথে সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হয়না”।

আমাদের বাবারা মেয়েদের লাস্ট নেম রাখতে গিয়ে বংশের নাম দেয়না অথবা লাস্ট নেম রাখেইনা। তাদের ভাবনা হচ্ছে "বিয়ের পর ‘লাস্ট নেম’ তো হয়েই যাবে, এখন শুধু ফার্স্ট নেমটাই যতেষ্ট।" বেচারী মেয়েটার এই নামে বোঝার কি কোন উপায় আছে ও কার মেয়ে, কোন পরিবারের মেয়ে, মুসলিম না হিন্দু?

আমরা প্রায়ই ছেলেদের নাম রাখার সময় অনেক চিন্তাভাবনা করে সুন্দর নাম রাখার চেষ্টা করি। তার নামের সাথে কি করে পরিবারের বা অন্তত বাপের নামের যোগসূত্র স্থাপন করা যায় তা নিয়ে ভাবি। অথচ মেয়েদের নাম রাখার সময় প্রায়ই তাতে বংশের ছোঁয়া থাকেনা। নামের শেষেও কোনরকমে একটা কিছু দিয়ে দেয়া হয়। ধরে নেয়া হয় বিয়ের পর তো তার নাম পরিবর্তন হয়েই যাবে। তাকে কোন এক সময় অন্য পরিবারে স্থানান্তর করা হবে ভেবে প্রথম থেকেই তাকে পরিবারের নাম থেকে পর্যন্ত বঞ্চিত করা হয়। অথচ সে যাকেই বিয়ে করুক না কেন আল্লাহ তাকে আমার ঘরেই পাঠিয়েছেন। তার প্রতি আমি ন্যায় আচরন করলাম কি’না তার ওপর আমার বেহেস্ত দোজখ নির্ভর করছে। আমার মানসিকতার প্রমাণ মিলছে। একটা মেয়ের আগমনের সাথে সাথে তাকে পর করে না দিয়ে যদি সে কোনদিন চলে যাবে ভেবে তাকে আমরা আরেকটু বেশী আদর করতাম তাহলে কি আমাদের খুব ক্ষতি হত? সামান্য একটা নাম, তাতে আমার উভয়প্রকার সন্তানের সমাধিকার নিশ্চিত করাটা কি খুব কঠিন কোন কাজ? আমাদের এই মানসিকতার পরিবর্তন হোক। আমরা যেন এই ব্যাপারে আরো সচেতন হই।

Lutfun Nessa  সবই অনিশ্চিত, মরিব এটা নিশ্চিত:(

মহাগুরু

উত্তর: জন্মের সাথে সাথেই যেকোন শিশুর একটা পরিচয় পাওয়া তার অধিকার যা ধর্মদ্বারা নির্ধারিত হয়েছে! আমি জন্মের পরে যে নামটি আমাকে দেয়া হয়েছিল সেটিই আমার একমাত্র ও অদ্বিতীয় পরিচয়.... বৈবাহিক সম্পর্কের জন্য আমার নিজ্বস্যতা হারাবো স্বকীয়তা বলতে কিছু থাকবেনা তাতো হয়না! অনেক সেলিব্রেটিদের দেখা যায় একাধিক বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে একাধিক পরিচয়ে বিভিন্ন মিডিয়াতে উপস্থিত হন তাদের জন্য আমার বড্ড করুনা হয় আহ কতনা অসহায়  তারা বলার মত  একটা স্থায়ী পরিচয়ও নেই তাদের! আশা করি আমার মতামত পেয়েছেন.... ধন্যবাদ...............

chhottopakhi  

পন্ডিত

উত্তর: আমার নাম হহচ্ছে  আমার ব্যাক্তিগত identity" যা আমার জন্মের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত! তাই বিয়ের  পরে আমার লাস্ট বা ফার্স্ট নামের পরিবর্তন করে পরগাছা হয়ে থাকার প্রশ্নই আসেনা. তাছাড়া ইসলাম ধর্মানুযায়ী আমার জন্ম পরিচয় বাদ  দিয়ে অন্য কোন পরিচয়ে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারিনা.... ধন্যবাদ.........................

সুমি রহমান  গুটিকয় বৃষ্টির ফোঁটা

মহাগুরু

যদিও ব্যাপারটা খুব -ই ব্যক্তিগত বলে মনে করি ! তবে আমি এটা অপছন্দ করি বিয়ের পর নামের পাশে স্বামীর নামের অংশবিশেষ লাগানো কে ! আমার বাবা মা আমাকে যে নাম দিয়েছেন যা আমার শিক্ষাজীবনের প্রতিটি স্তরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তা পরিবর্তন করতে আমি রাজি নই ! কেউ তা করলেও আমার ভালো লাগে না !

মিকু  simple

মহাগুরু

এর বেশ কিছু কারণ আছে। সামর্থ্যবান স্বামী কিংবা গুণি স্বামী হলে এতে মেয়েও কিছুতা গর্ববোধ করে থাকেন। অনেক মেয়েই আবার এটাকে রোমান্টিক মনে করেন! আবার অনেকে নামেই কারো অর্ধাঙ্গী সেটা বুঝাতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার অনাগত সন্তানদের নামের বাপ পরিচয়ের জন্য এমন করে থাকেন। এছাড়াও আর নানা কারণ আছে। আমি যেটা মনে করি নাম চেঞ্জ করার জন্য বিবাহিতা নারীদের উপর প্রেসার না দেয়াই ভালো। উনি ইচ্ছা করলে স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হবেন, নইলে নিজের।

Syed Al-Amin  অলীক স্বপ্ন নয়,, জীবন গড়তে চাই কঠোর পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে:)

বিশারদ

মেয়েরা আমার মায়ের জাতী, তাই তাদের অনেক সম্মান করি.... তারা তাদের নিজ্বস্য identity নিয়ে থাকবেন তাতে আবার ভাগ বসানোর মত দুশ্চিন্তা করা ঠিক নয়........... এটা এক ধরণের  মানুষের হীনমন্যতার প্রকাশ ছাড়া অন্য কিছু নয়............. ধন্যবাদ.....

ইসরাত  আমার কাছেই সকল কথা অন্তরঙ্গ বলছি একা এমনি ভাবে বলেই যাব।

মহাগুরু

এটা একেবারেই ব্যক্তিগত অভিমত | পদবি পাল্টাতে হবে এমন বোধয় কোনো ধর্মেই নেই | কোনো কোনো ক্ষেত্রে শশুর বাড়ির চাপ থাকে আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে আহ্লাদের আতিসজ্যে মেয়েরা নিজেই লাস্ট নেম পরিবর্তন করে নেন | আমার মা সেই আমলে নিজের নামের স্বকীয়তা হারান নি আমারতো প্রশ্নই ওঠেনা | আর লাস্ট নেম পাল্টালে বাড়তি কিছু করা হয় নতুন পরিবারটির প্রতি আমার তেমন মনেও হয়না |

তৌফিক  বিভ্রান্তিকর

বিশারদ

বেপার তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত.. আর বতমানে তো জাতীয় পরিচয় পত্র (যা ১৮ বছরে করা হয় ) ও সার্টিফিকেট এর দরুন নাম পরিবর্তনের সুযোগ নেই ..সো আমাদের দেশে এটি প্রায় উঠে ই গেসে বলে আমার মনে হয় :)

Hasanuzzaman  আমি কোন সেলিব্রেটি নয় যে আমার ইয়া লম্বা একটা বায়ো ডাটা থাকবে...

মহাগুরু

ইসলামিক বিধানে এটা নিয়ম নেই ... তাই আমার মতে এটা ঠিক নয়... 

গাজী আজিজ  বাংলাদেশের বোকাসোকা একজন মানুষ। ।

মহাগুরু

আমাদের নবী রসুলে পাক (সঃ) উনার বিবিদের আদর করে বিভিন্ন নামে ডাকতেন। এছাড়া অনেক সাহাবীদেরও স্নেহ করে নতুন নতুন সুন্দর নামে ডাকতেন, যেমন আবু হুরায়রা আরো অনেক আছে। নাম পরিবর্তনে কোন দোষ নাই। ভালোবাসার অনুরাগে নাম পরিবর্তন সুন্নত। স্ত্রী যদি ভালোবাসার অনুরাগে স্বামীর নাম তার নামের সাথে যুক্ত করে নেয়, সেটাও সুন্নত।

শাওন  ভালোবাসি গান গাইতে, তোমাদের মাঝে মিশে থাকতে

জ্ঞানী

আমি তো এই বিষয়টাকে একদম মেনে নিতে পারিনা।একটি মেয়ে ছোটো থেকে বাবা মার পরিচয়ে বড় হয়।এমনকি বিয়ের আগমুহূর্ত পর্যন্ত বাবার নামের সারনামটা বহাল থাকে।তাহলে বিয়ের পর কেন তা পাল্টাতে হবে?বিয়ে তো সামাজিক রীতি মাত্র।এর জন্য নাম পাল্টানোর কি আছে।

সরকার মোমেনূর রহমান  ভালোবাসাকে ভালোবাসি

মহাগুরু

আমার কাছে এ বিষয়টা তেমন খারাপ লাগে না !!!! তবে,মেয়েদের নামের শেষে বাবার নাম যোগ করাটা-ই উত্তম ! কেননা বাবার পরিচয়টা-ই চিরস্থায়ী,স্বামীর পরিচয়টা নয় !!!!!!

বিয়ের আগে বাবা মায়ের দ্বায়িতে থাকে বিয়ের পরে  স্বামির তখন স্বামিয় সব চেয়ে আপন হয় তখন স্বামির সুখি স্ত্রি সুখ হয় তাই

sm moin  creativeman

গুণী

এটা আমার কাছে খুবই ভাল লাগে, কারন এটা- স্বামীর সংসার ও স্বামীর প্রতি ভালবাসার দীর্ঘস্থায়ী আলামত মনে হয়।

রুশদী  আসেন, নিজের ঢোল নিজেই পিটাই :)

গুরু

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১ টি উত্তর লুকিয়ে রাখা হয়েছে

শওকত জামান (জিবন)

পন্ডিত

আমি মেড! (Make A Different)

বেপার তা ইন্টার্স্তিং ! বিয়ের আগে বাপের ঘাড়ে বিয়ের পর বরের ঘাড়ে, তাই... ;)

অথবা,