Preview
প্রশ্ন করুন

বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।

...বিস্তারিত

ইসরাত  আমার কাছেই সকল কথা অন্তরঙ্গ বলছি একা এমনি ভাবে বলেই যাব।

মহাগুরু

ঠিক এরকম একটা সমস্যায় আমরা পরেছিলাম | আমাদের দুছেলের বয়সের পার্থক্য ছিল এক বছর তিন মাস | আমরা দুই ছেলের দায়িত্ত দুজনে ভাগ করে নিয়েছিলাম | বড় ছেলেকেও তার দায়িত্ত বুঝিয়ে দিয়েছিলাম | তার কাছে বেবিকে রেখে ছোট কাজ সারতাম আমি অলক্ষ্যে অবস্য খেয়াল রাখতাম | দরকারী জিনিস ছাড়া যে জিনিসে পুরো পরিবার আনন্দিত হয় শুধু সেটাই কিনতাম আমরা | ওরা বুঝত দুজনেই আমাদের সমান প্রিয় | মাত্র এক বছরের ছোট বড় হলেও ওরা এখনো নিজেদের সম্পর্কটাকে অসম্ভব সম্মান করে |

প্যাঁচা  ভয় লাগে নাকি ভয় করে!!!...হুমমম...

মহাগুরু

হাহাহাহাহা...একটা সময় ছিল যখন নাকি মানুষের শরীরে প্রচুর লোম ছিল,এখন প্রায় লোম শূন্যই মানুষ...কেন কথাটা বললাম? প্রসেস্টা ভেবে দেখেন...যখন থেকে লোম কমা শুরু হইছে,মানুষ হয়ত কি হচ্ছে,কেন হচ্ছে,রোধের উপায় কি হতে পারে,এসব নিয়ে ভাবছে যেমন এখন আমরা চুল নিয়ে ভাবি...হাহাহাহাহা...কিন্তু বর্তমান চিত্র দেখেন,লোম কমানোর দিকেই আমাদের নজর এবং ভবিষ্যতে হয়ত চুলের ক্ষেত্রেও তা হবে...মানুষ হবে কমপ্লিটলি লোম বিহীন,নো চুল,নো ভ্রু...নাথিং...অই সময় মানুষ কি হয়ত চোখের পাপড়ি কমে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাববে...হাহাহাহাহাহা... উপরের সবগুলা বাহুল্য কথা যদি পড়েন,তাহলে আশা করি বুঝতে পারতেছেন কি বলতে চাচ্ছি।যখন এক ঘরে ১২/১৩জন ছেলে মেয়ে জন্ম নিছে তখন কি কেউ এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভাবছে?ভাবে নাই...ফলে অটোই সমাধান হয়ে গেছে,কিভাবে?ফিটাসের সাথে মায়ের মানসিক সম্পর্ক ও তার প্রভাবের উপর অনেক রিসার্চ আছে,দেখে নেবেন।বাড়তি চিন্তা করে কেন ভবিষ্যৎ মানুষকে মানসিকভাবে কারাগারস্থ করবেন।আর এই চিন্তাটাকে বাদ দেয়াটাই এই প্রভাব থেকে মুক্তির প্রথম এবং কার্যকরী ধাপ। ভাল থাকবেন।মনে রাখবেন,যত বেশি পারফেকশান আসে যেখানে,ফিজিকালি সেটা তত বেশি দূর্বল হয়।আমার আগের কথাটা ভুল বুঝবেন না।যে শিশু আগে বালু-ঘাসে জন্মেছে আর এখন যে জন্মাচ্ছে আমি সেই দিক থেকে বলছি...হাহাহাহাহা...অনেক রিসার্চ আছে,দয়া করে দেখে নেবেন,বুঝতে পারবেন।হাহাহাহাহাহা...

পাগলী  আমি নিজের সম্পর্কে কিছু জানলে ত কমু?

মহাগুরু

আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা বেবীর জন্মের আগে থেকেই বড় সন্তানকে বুঝানো যেতে পারে। জন্মের আগেই যদি তাকে বলা হয় তার ভাই-বোন মানে একজন ফ্রেন্ড আসছে যে তার সাথে খেলা করবে। সে বড় ভাই /বোন হয়ে তার দেখা শুনা করবে। এটা তার জন্য অনেক বড় একটা কাজ বেবী টাকে যত্ন করা ইত্যাদি আগে থেকে তাকে বুঝানো যেতে পারে। এরপর জন্মের পর বেবীর টুকটাক কাজে তার হেল্প চাইতে পারেন। যাতে তার মনে হয় সে খুব ইমপর্টেন্ট পারসন এই বেবীর জন্য। কোন ভাবেই ছোট জনের জন্য বড় জনকে মা বাবা দূরে ঠেলে দিয়েছেন এটা যেন তার মাথায় না আসে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বড় জন যদি একটু বেশি বড় হয় তাহলে ছোটজনের জন্য কেনা কাটার সময় বড় জনের মতামত নিতে পারেন। এক কথায় তাকে বুঝাতে হবে সেও খুব গুরুত্বপূর্ন একজন। তাকে কেউ অবহেলা করছেনা। বরং ছোটজনকে আনা হয়েছে তার একজন খেলার সাথী হিসাবে। তাহলে আমার মনে হয় কোন সমস্যা হবেনা।

ইউসুফ  বাংলাদেশে 'বাংলাদেশী' থাকতে চাই

মহাগুরু

ওর বোঝার বয়স হলে, একটু অভিনয়ের আশ্রয় নিতে হবে - দেখাতে হবে যে সে বেশি 'ইম্পরট্যান্ট' আরও বোঝাতে হবে যে 'বড়' হিসেবে তার অনেক 'দায়িত্ব' আছে ইত্যাদি। কেউ আদর করবার সময় দুজনকেই যেন আদর করে (পারলে বড়জনকে একটু বেশি) এটা খেয়াল রাখতে হবে।


অথবা,