বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।
+ আরও
( ১৩,৩৬১ বার দেখা হয়েছে)
Latif Hossain :-)
মহাগুরু
মো আকছাদুর রহমান যে এখনও নিজেকে চিনেনা...........
মহাগুরু
পন্ডিত
দীপ্তি আমি শান্ত, সাম্য, আহ্লাদী, মিশুক, পরিপাটি, গোছালো, খুব নরম মনের একজন সাধারণ মানুষ :)
মহাগুরু
গলা ব্যথার অপর নাম হলো ফ্যারিঞ্জাইটিস। গলা ব্যথা হলে সাধারণত গলা খসখসে হয়, চুলকায় এবং ফুলে যায়, শ্বাস নেওয়ার সময়, কথা বলার সময় এবং ঢোঁক গিলার সময় ব্যথা অনুভূত হয়। সাধারণত ঠান্ডা এবং ফ্লুর (ইনফ্লুয়েঞ্জা) মতো জীবাণুর সংক্রমণের মাধ্যমে গলার এই সমস্যা হয়। গলায় শুষ্ক চুলকানি হয় এবং খাবার গিলতে ও ঢোঁক গিলতে সমস্যা হয়। গলা ব্যথা একটু মারাত্মক আকার ধারণ করলে, টনসিল ফুলে গিয়ে খাবার গিলতে বা ঢোঁক গিলতে অসুবিধা হয়।
গলা ব্যথাকে অনেকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। গলা ব্যথা অনেক সময় মারাত্মক অসুখের উপসর্গের কারণ হতে পারে।
গলা ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
তবে এমন সব চিকিৎসাও অনেক সময় কাজে দেয় না। দিনের পর দিন ধরে গলার ব্যথা ও স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না। স্বর বদলে যায়। ফ্যাসফ্যাসে আওয়াজ হয়। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ সামান্য গলা ব্যথার ফলে অনেক মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
গুণী
গলায় মাফলার পড়তে হবে যাতে গলা উষ্ণ থাকে।। তাহলে আস্তে আস্তে ব্যাথা কমে যাবে
গুণী
একটু সরিষার তেল গরম করে, গলায় মাসাজকরুন ,আর একটা মাফলার গলায় পেঁচিয়ে রাখুন , সমস্যা চলে যাবে ইনশাহআল্লাহ .....
গুণী
কাপড় গরম করে ছেক দিয়া।গরম পানির সাথে লবন মিশিয়ে গড়গড় করা।
গুণী
কুসুম গরম পানিতে হালকা লবন মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে দিনে ২/৩ বার, আদা ও গরম মসলা দিয়ে রং চা করে খেতে হবে, তুলসি পাতার সাথে মধু মিশিয়ে খেলেও অনেক উপকার হবে, গলায় মাফলার বা মোটা কাপড় পেঁচিয়ে রাখতে হবে এবং গোসল বা অন্যান্য কাজে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে খুব তাড়াতড়ি গলা ব্যথা কমানো সম্ভব।
গুণী
Hasanuzzaman আমি কোন সেলিব্রেটি নয় যে আমার ইয়া লম্বা একটা বায়ো ডাটা থাকবে...
মহাগুরু
আমার খুব মনে আছে ২০১১ সালে আমার খুব গলা ব্যথা ছিল... তখন আমার পরীক্ষা ছিল...। আমার বাবা আমাকে কুসুম গরম পানিতে হালকা লবন মিশিয়ে গড়গড়া করতে দিতো ...।
সো গলা ব্যথা কমানোর উপায়ঃ----
(১)১ কাপ গরম পানির মধ্যে ১/৪ চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। দিনে ৩-৪ বার এই পানি দিয়ে কুলকুচা করলে গলার ফারিংগাল অঞ্চলের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর ফলে ভেতরে জমে থাকা ঠান্ডা কফ বের হয়ে এসে গলা পরিস্কার করে ফেলে। এছাড়া গলার ইনফেকশন অবস্থারও উন্নতি করে। ফলে গলা ব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।
(২) গলা ব্যথা দূর করতে লেবুপানি:গলা ব্যথা দূর করতে লেবুপানি অনেক বেশি কার্যকরী। ১ কাপ পানির মধ্যে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কয়েকবার কুলকুচা করুন। এটি গলার ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়।
(৩) গলা ব্যথা দূর করতে হলুদপানিহলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা ব্যথা উপশম করে থাকে। ১ কাপ গরম পানিতে, ১/২ চাচমচ হুলুদ গুঁড়া এবং ১/২ চাচমচ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলকুচা করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে গলা ব্যথা কমে যাবে।
(৪) গলা ব্যথা দূর করতে লবঙ্গ চা ১ থেকে ৩ চামচ লবঙ্গের গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে গলায় কুলকুচা করুন। এতে অ্যান্টিব্যক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি উপাদান থাকে যা গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়।
(৫) গলা ব্যথা দূর করতে আদা, মধু লেবু পানি ১ চাচামচ আদা পাউডার/কুচি, মধু, ১/২ কাপ গরম পানি, ১/২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। প্রথমে আদাপানি দিয়ে কুলকুচা করুন তারপর লেবুর রস, মধু, দিয়ে কিছুক্ষণ কলকুচি করে নিন। এটি আপনার গলা ব্যথা কমানোর সাথে সাথে আপনার গলা পরিষ্কার করে দেবে।
এতেও যদি না কমে তাহলে ডক্টর এর সাথে যোগা-যোগ করুন...। ধন্যবাদ সবাইকে ......
গুণী
১. গবেষণায় প্রমাণিত যে কুসুম গরম লবণ পানি কেবল জীবাণুকেই ধুয়ে মুছে দেয় না, প্রদাহ ও ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। এক কাপ হালকা গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মেশাতে হবে। বিস্বাদ লাগলে এতে কয়েক ফোঁটা মধুও মেশানো যেতে পারে। তারপর দিনে দুই বা তিনবার গার্গল করতে হবে।
২. হাঁচি, কাশি ও গলার ভেতর প্রচুর তরল পদার্থ নিঃসরণের জন্য শরীর খানিকটা পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি পান ও তরল খাদ্য খেতে হবে৷ ঠাণ্ডা পানি এড়িয়ে চলতে হবে। গলার প্রদাহে চমৎকার কাজ দেয় ধোঁয়া ওঠা গরম স্যুপ।
৩. মেনথল, ইউক্যালিপটাস বা ফেনলসমৃদ্ধ কিছু লজেন্স চুষে খেলে প্রদাহ ও ব্যথা অনেকটাই কমে। এগুলো মূলত ক্লোরোসেপটিক অর্থাৎ গলায় একটা আরামদায়ক অনুভূতি এনে দেয়ার পাশাপাশি জীবাণুনাশেও সাহায্য করে৷
৪. দিনে দুই বা তিনবার গরম চা পান ব্যথা থেকে অনেকটা উপশম দিতে পারে। গ্রিন-টি বা অন্য কোনো হারবাল চা আরো ভালো। চাইলে চায়ের মধ্যে লেবুর রস বা লবঙ্গজাতীয় জিনিস যোগ করা যেতে পারে। যা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে৷
৫. যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করবে। দরকার হলে কাজ থেকে ছুটি নিতে হবে। অবকাশ যাপন করলে ভালো। কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হলে কথার বিরতি নিতে হবে।
৬. বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল বা বেদনানাশক ওষুধই যথেষ্ট। তবে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে গলায় স্ট্রেপটোকক্কাস সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ গলা ব্যথার উপসর্গ কোনো চিকিৎসা ছাড়াই তিনদিনের মধ্যে সেরে যায়। ৮৫ শতাংশ সেরে ওঠে সাত দিনের মাথায়।