Preview
প্রশ্ন করুন
রিলেটেড কিছু বিষয়

বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।

...বিস্তারিত

Preview অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হলে কি করণীয়?

*অনলাইনকেনাকাটা* *অনলাইনশপিং* *প্রতারণা*
( ৮ টি উত্তর আছে )

( ১,০৭৭ বার দেখা হয়েছে)

Sami Akter  

বিশারদ

বর্তমান সময়ে অনলাইনে কেনাকাটা যেমন প্রচলিত তেমনি প্রতারণাটাও বাড়ছে। প্রতারণার শিকার হলে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:-

১.প্রথমত সচেতন হতে হবে শপিং এর ক্ষেত্রে, ওয়েবসাইট গুলো ভাল করে দেখতে হবে। অনলাইন সাইটটির ব্যাপারে ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

২. যদি প্রতারণার শিকার হয়েই যায় তাহলে আইনের সহায়তা নিতে হবে। এবং পরিচিত সকলকে জানাতে হবে।

৩.তাদের সাইটে গিয়ে রিভিউ করে ডিটেইলস এ সমস্যাটি জানাতে হবে।

স্বপ্নবাজ সৌরভ  একটি দিনের একটি বিকেল একটি ছাদের একটি কোণে, একটি কিশোর আকাশটাকে মাখছে গায়ে মাখছে মনে ।

মহাগুরু

দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ সুযোগে একটি চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সাধারণ গ্রাহক পণ্য কিনে নানাভাবে এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পণ্যের মূল্য পরিশোধ করলেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করারও অভিযোগ আছে। কিন্তু অনলাইনে কেনাকাটায় যদি প্রতারণার শিকার হন, তাহলে প্রচলিত আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে।

কীভাবে আইনের আশ্রয় :

প্রথমেই অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও মোকদ্দমা দায়ের করা যায় আদালতে। করা যায় প্রতারণার মামলাও। কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। অধিদপ্তর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে অধিদপ্তর। এ জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অবগত করতে পারেন।

যে সাবধানতা মানতে হবে:

অনলাইনে কোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটি দরকার তা হচ্ছে সচেতনতা। কোনো আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন বা অফার দেখেই হুট করে কিনতে যাওয়া ঠিক নয়। প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা এবং মালিকের নাম-ঠিকানায় অসামঞ্জস্য আছে কি না ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠানও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। ওয়েবসাইটে ট্রেড লাইসেন্সের কপি আছে কি না দেখতে হবে, যদি না থাকে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স করা আছে কি না এবং থাকলে তার নিবন্ধন নম্বর কত তা জেনে নিতে হবে। কোনো বিকাশ নম্বরে মূল্য পরিশোধ করতে বললে নম্বরটি একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে যাচাই করে নেওয়া ভালো। আর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য দিতে বললে নির্দিষ্টভাবে পণ্য সরবরাহ যেন করা হয় এবং কেনার রসিদ দেওয়া হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। যেকোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আগে পণ্য সরবরাহ করে এবং তা পাওয়ার পর বিক্রয় প্রতিনিধিকে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করা যায় এমন ওয়েবসাইট বা মাধ্যমগুলো নির্ভর করা ভালো।

কেনাকাটা যখন ফেসবুকে :

ইদানীং ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমেও কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা করছেন। ফেসবুকে কেনাকাটা করতে হলে একই ধরনের অন্যান্য পেজের সঙ্গে তুলনা করে ধারণা নেওয়া উচিত এবং নিজের পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বাসযোগ্য পেজগুলো থেকে অর্ডার দেওয়া ভালো। কোনো পণ্য কিনতে হলে যদি পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধের সুযোগ না থাকে অর্থাৎ অগ্রিম মূল্য দিতে হলে অর্ডার নিশ্চিতকরণের কোনো উপায় আছে কি না জেনে নিন। এসএমএস-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে বলতে পারেন। কোনো পণ্য কিনলে পণ্য বাবদ ক্রয়-রসিদের স্ক্যান কপি চাইতে পারেন এবং অনুরোধ করুন পণ্যের সঙ্গে যেন মূল কপিটি পাঠানো হয়। পণ্যটি কীভাবে পাঠানো হবে এবং কোন মাধ্যমে তা আগেভাগেই নিশ্চিত হতে হবে। মনে রাখা জরুরি, আইনের আশ্রয় নিতে গেলে কিন্তু প্রমাণ থাকা চাই।

সূত্র : প্রথমআলো

অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হলে সর্বপ্রথম এই ব্যাপারটা বুঝার সাথে সাথে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। পণ্য ক্রয় সংশ্লিষ্ট যত প্রকার প্রমাণাদি সাথে আছে তা সংরক্ষণ করতে হবে। পণ্য ক্রয় বা হাতে পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষতি পূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করতে হবে। এতে ভোক্তা অনেক বেশি লাভবান হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে অধিদপ্তরে যে পরিমাণ জরিমানা প্রদান করবে প্রতিষ্ঠানটি তার ২৫% ভুক্তভোগীকে প্রদান করা হবে।                         অনলাইন কেনাকাটা জনপ্রিয় হওয়ার সুবাদে একদল কুচক্রী জনগোষ্ঠী এই ঘৃণ্য কাজ করছে। তাই পন্য ক্রয়ে যথাসম্ভব সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

Nahida Akter Tanny  

জ্ঞানী

অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হলে নিজের পরিচিত লোকজনদের  মধ্যে তা জানাতে হবে বং তাদের সতর্ক করতে হবে। এছাড়া উক্ত  অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। 

Noman Ahmed  

জ্ঞানী

ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করতে পারেন , কাজ না হলে পুলিশের সাহায্য নিন। আর পণ্য কেনার রশিদ , অর্ডার এর প্রমান পত্র সব সঙ্গে রাখুন যাতে আপনার অভিযোগটি প্রমান করা যায়।

দিন দিন অনলাইনে কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর এ সুযোগে একটি চক্র গ্রাহকদের সঙ্গে করছে প্রতারণা। অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে অনেক সাধারণ গ্রাহক পণ্য কিনে নানাভাবে এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে চাহিদা অনুযায়ী সঠিক পণ্য সরবরাহ না করা এবং করলেও নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। পণ্যের মূল্য পরিশোধ করলেও সময়মতো পণ্য সরবরাহ না করারও অভিযোগ আছে। কিন্তু অনলাইনে কেনাকাটায় যদি প্রতারণার শিকার হন, তাহলে প্রচলিত আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে।

কীভাবে আইনের আশ্রয়প্রথমেই অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও মোকদ্দমা দায়ের করা যায় আদালতে। করা যায় প্রতারণার মামলাও। কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। অধিদপ্তর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে অধিদপ্তর। এ জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অবগত করতে পারেন।

যে সাবধানতা মানতে হবেঅনলাইনে কোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটি দরকার তা হচ্ছে সচেতনতা। কোনো আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন বা অফার দেখেই হুট করে কিনতে যাওয়া ঠিক নয়। প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা এবং মালিকের নাম-ঠিকানায় অসামঞ্জস্য আছে কি না ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠানও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। ওয়েবসাইটে ট্রেড লাইসেন্সের কপি আছে কি না দেখতে হবে, যদি না থাকে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স করা আছে কি না এবং থাকলে তার নিবন্ধন নম্বর কত তা জেনে নিতে হবে। কোনো বিকাশ নম্বরে মূল্য পরিশোধ করতে বললে নম্বরটি একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে যাচাই করে নেওয়া ভালো। আর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য দিতে বললে নির্দিষ্টভাবে পণ্য সরবরাহ যেন করা হয় এবং কেনার রসিদ দেওয়া হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। যেকোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আগে পণ্য সরবরাহ করে এবং তা পাওয়ার পর বিক্রয় প্রতিনিধিকে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করা যায় এমন ওয়েবসাইট বা মাধ্যমগুলো নির্ভর করা ভালো।

কেনাকাটা যখন ফেসবুকেইদানীং ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমেও কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা করছেন। ফেসবুকে কেনাকাটা করতে হলে একই ধরনের অন্যান্য পেজের সঙ্গে তুলনা করে ধারণা নেওয়া উচিত এবং নিজের পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বাসযোগ্য পেজগুলো থেকে অর্ডার দেওয়া ভালো। কোনো পণ্য কিনতে হলে যদি পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধের সুযোগ না থাকে অর্থাৎ অগ্রিম মূল্য দিতে হলে অর্ডার নিশ্চিতকরণের কোনো উপায় আছে কি না জেনে নিন। এসএমএস-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে বলতে পারেন। কোনো পণ্য কিনলে পণ্য বাবদ ক্রয়-রসিদের স্ক্যান কপি চাইতে পারেন এবং অনুরোধ করুন পণ্যের সঙ্গে যেন মূল কপিটি পাঠানো হয়। পণ্যটি কীভাবে পাঠানো হবে এবং কোন মাধ্যমে তা আগেভাগেই নিশ্চিত হতে হবে। মনে রাখা জরুরি, আইনের আশ্রয় নিতে গেলে কিন্তু প্রমাণ থাকা চাই।

রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রচণ্ড যানজট অতিক্রম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং কমপ্লেক্সে ঘুরে ঘুরে ঈদের কেনাকাটা করার কথা মাথায় এলে যারা চোখে শর্ষে ফুল দেখেন, তাঁদের জন্য স্বস্তির অনেক বড় একটি জায়গা হচ্ছে অনলাইন শপিং। সম্প্রতি বাহারি পণ্য একেবারে ঘরের দরজায় পৌঁছে দেওয়া ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেমের কারণে খুব দ্রুত অনলাইন কেনাকাটার গ্রাহক, বিশেষ করে তরুণ গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগীদের সংখ্যাও। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনলাইন পেজে পণ্যের জন্য অগ্রিম টাকা প্রেরণ করে পণ্য না পাওয়ার ঘটনা কিংবা নিম্নমানের পণ্য পাওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। এত বাজেভাবে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে যে অনলাইন শপিং অনেকের কাছেইএক বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে। ব্যক্তিগত ও কাছের কিছু মানুষের অভিজ্ঞতার আলোকে দেখতে পেয়েছি যে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখলে ও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে খুব সহজেই এসব প্রতারণার ফাঁদ থেকে মুক্ত থেকে অনায়াসে অনলাইনে শপিং করা সম্ভব।

প্রথমত, যে পেজ থেকে পণ্য কেনার কথা ভাবছেন সেই পেজের মতামত বিভাগটি, অর্থাৎ রিভিউ সেকশনটি অবশ্যই চেক করা প্রয়োজন। অন্য ক্রেতারা সেই পেজ, সেলার এবং তাদের পণ্য সম্পর্কে কী মতামত দিচ্ছে, তা জানা অত্যন্ত জরুরি। অনলাইন পেজগুলোকে ৫ স্টার রেটিংয়ে রেট করা যায়। যে পেজগুলোর রেটিং ৪-৪.৮ এর মধ্যে অবস্থান করে, সেগুলোকে বিশ্বস্ত বলে ধরা যায়। একদম ৫-এ ৫ পাওয়া পেজ হলে সম্ভাবনা থাকে ফেইক রিভিউর, যেখানে বিক্রেতারা পেমেন্টের বিনিময়ে ভালো মতামত কিনে থাকেন। রিভিউ সেকশন নেই এ রকম পেজ থেকে পণ্য অর্ডার করা থেকে বিরত থাকা ভালো।

দ্বিতীয়ত, পণ্য হাতে পাওয়ার পূর্বে ফুল অ্যাডভান্স পেমেন্ট করা কখনই উচিত নয়। ক্যাশ অন ডেলিভারি, অর্থাৎ পণ্য হাতে পেয়ে টাকা পরিশোধ করবেন এ রকম অপশন সংবলিত পেজগুলো থেকে পণ্য অর্ডার করা। কেননা সে ক্ষেত্রে আপনার পণ্য সঠিক এবং মানসম্মত কি না, তা পরীক্ষা করে তবে আপনি বিল পরিশোধ করতে পারবেন। তবে এটা ঠিক যে অনেক বিক্রেতা তাদের কাসটম মেড বা ইম্পোর্টেড পণ্যের ক্ষেত্রে যেন লস না হয়, সে জন্য ২০% অ্যাডভান্স পেমেন্ট নিয়ে থাকেন এবং তাঁদের বিজনেসের নির্দিষ্ট এলাকার বাইরে পণ্য ডেলিভারি করতে ফুল পেমেন্ট চেয়ে থাকেন। যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে করা হয় এবং কাসটম ড্রেস তৈরিতে বা বাইরের দেশের পণ্য ইম্পোর্টের ক্ষেত্রে সেলারদের এক্সট্রা ইনভেস্টমেন্ট থাকে, যা অর্ডার কেন্সেলেশনে তাদের লসের রিস্ক বাড়িয়ে দেয়, তাই অ্যাডভান্স পেমেন্ট দাবি করাটা যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন পেজটি বিশ্বস্ত কি না সেদিকে এবং তা নিশ্চিত করা সম্ভব রিভিউ সেকশন চেক করার মাধ্যমে। কোনো অবস্থাতেই পণ্য হাতে পাওয়ার পূর্বে ফুল পেমেন্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এলাকার বাইরে থেকে, অর্থাৎ আপনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা হলে ঢাকা থেকে অনলাইনে পণ্য অর্ডার না করাই ভালো। এতে রিস্ক সব সময় থেকেই যায়। এলাকার ভেতরে কোনো সেলার ফুল পেমেন্ট অ্যাডভান্স চাইলে সেটি নিশ্চিতভাবে একটি প্রতারণার ফাঁদ।

অনলাইনে শপিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে পণ্যের ছবি দেখে একদিকে পণ্যের মান বুঝতে না পারা এবং অপর দিকে ছবিটি পেজের নিজস্ব কি না তা বুঝতে না পারা। অহরহ অনেক ফেইক পেজ অন্য পেজের রিয়াল ছবি তাদের নিজস্ব বলে চালিয়ে দেয়। এই সন্দেহের অবসান করার একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায় হচ্ছে পেজের লাইভ ভিডিও চেক করা। সরাসরি লাইভ ভিডিও দেখে কাঙ্ক্ষিত পণ্য অর্ডার করলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে। লাইভ ভিডিও না থাকলে পণ্যের অন্তত সাধারণ ভিডিও দেখাতে বলতে পারেন সেলারকে। যদি আপনি যা অর্ডার করতে চাইছেন, ঠিক সে পণ্যটির ভিডিও সেলার কাছে নাও থাকে, তবে সে পেজের অন্য যেকোনো পণ্যের ভিডিও দিতে বলুন। এতে আপনি অন্ততপক্ষে পেজের পণ্যের ওভারঅল মান সম্পর্কে ধারণা পাবেন। কোনো সেলার কোনো প্রকার ভিডিও দিতে আপত্তি জানালে পণ্য অর্ডার করা থেকে বিরত থাকুন। অধিকাংশ নাম করা ব্র্যান্ডের কসমেটিকস, মেকআপ আইটেম এবং ক্ষেত্রবিশেষে কাপড়ের ব্র্যান্ডের রেপ্লিকা এবং ডুপ্লিকেট অর্থাৎ একই নামে কম দামের প্রোডাক্টের ছড়াছড়ি রয়েছে বাজারে। ডুপ্লিকেট এবং রেপ্লিকার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে রেপ্লিকাসমূহ বাইরের দেশ থেকে আমদানি করা হয়, ফলে একদম অরিজিনাল না হলেও সেগুলোর মান চকবাজারে নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক পণ্যগুলো থেকে উন্নত। তাই অবিশ্যই জানা উচিত আমরা আসল পণ্য কিনছি, রেপ্লিকা কিনছি নাকি চকবাজারের নকল পণ্য কিনছি বেশি দামে? জানার জন্য ব্র্যান্ডগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট ঘুরে আসা উচিত আমাদের। অরিজিনাল পণ্যগুলো তারা কী দামে বিক্রি করে, তা দেখে আন্দাজ করা সম্ভব এ দেশে সে পণ্য ইম্পোর্ট করতে ভ্যাটসহ একজন সেলারের পাইকারি হারে কত দাম পড়তে পারে এবং রিজনেবেল লাভ করলে কত দামে তা সেল হতে পারে। বিক্রয় মূল্য যদি আমাদের আন্দাজ করা দামের কাছাকাছি হয় তবে পণ্যটি অরিজিনাল হওয়ার সম্ভবনা বেশি। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক। অরিজিনাল একটি ব্র্যান্ডের দাগ দূর করা একটি ক্রিমের মূল্য ব্র্যান্ডটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে ৫ ডলার। তাহলে পাইকারি দরে কোন সেলারের তা ইম্পোর্ট করতে একই দাম বা তার বেশি ৬/৭ ডলার পড়ে, আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ এবং ট্যাক্স পে করে। অর্থাৎ তার কেনা দাম পড়ে কমপক্ষে ৬ x ৮২ = ৪৯২ টাকা। এবার কোন সেলার যদি পণ্যটির বিক্রয়মূল্য ৬০০-৭০০ টাকা ঠিক করে তবে ধারণা করা যায় পণ্যটি রিয়াল। কিন্তু যদি কোন পণ্য ২০০/৩০০ টাকায় বিক্রি হয়, তবে সেটি অরিজিনাল নয়।

পরিশেষে যা না বললেই নয় তা হলো, ব্যবসা ব্যাপারটাই বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে এবং শেষ পর্যন্ত সে বিশ্বাস আপনাকে জোগাবে আপনি যার সাথে লেনদেন করছেন সে নিজে। তাই আপনার পক্ষ থেকে সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করার পাশাপাশি বিক্রেতার সাথে কথা বলে বুঝতে চেষ্টা করা যে তাকে বিশ্বাস করা যায় কি না তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেলারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখুন, জানুন তিনি কোন এলাকায় থাকেন এবং অবশ্যই তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করুন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ রকম কিছু গ্রুপ রয়েছে, যারা অনলাইন সেলারদের কাছ থেকে রেগুলার ফি নেয় এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তাদেরকে নির্দিষ্ট একটি আইডি নম্বর প্রদান করে গ্রুপে তাদের পণ্যের প্রচারণা করতে দিয়ে থাকে। সে ধরনের গ্রুপ থেকে পণ্য অর্ডার করা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, কেননা এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সেলারের ইনফরমেশন জোগাড় করা সম্ভব।

এই সতর্কতাগুলো অবলম্বন করে আমি নিজে প্রতারিত হওয়া থেকে বিরত রয়েছি এবং আশা করছি আপনারাও বিরত থাকতে পারবেন। আর হ্যাঁ, পণ্য ডেলিভারি করতে আসা ডেলিভারিম্যানকে বাসার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকা উচিত। সম্ভব হলে একা ডেলিভারিম্যানের সামনে না গিয়ে কাউকে সঙ্গে রাখা উত্তম। হাস্যোজ্জ্বল এবং নিরাপদ হোক আপনার ঈদ এবং ঈদের অনলাইন শপিং। ঈদ মোবারক।

শাকিল মুরাদ  আমি নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসি

জ্ঞানী

প্রথমেই অনলাইনে প্রতারণার শিকার হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাইট এবং কী ধরনের প্রতারণার শিকার হলেন তা সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে পণ্য কেনা বা হাতে পাওয়ার তারিখ হতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়েও মোকদ্দমা দায়ের করা যায় আদালতে। করা যায় প্রতারণার মামলাও। কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করাটা সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ। অধিদপ্তর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেবে অধিদপ্তর। এ জরিমানা হিসেবে যে টাকা আদায় করা হবে তার ২৫ শতাংশ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তাকে দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অবগত করতে পারেন।

যে সাবধানতা মানতে হবেঅনলাইনে কোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটি দরকার তা হচ্ছে সচেতনতা। কোনো আকর্ষণীয় বা লোভনীয় বিজ্ঞাপন বা অফার দেখেই হুট করে কিনতে যাওয়া ঠিক নয়। প্রথমেই প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা এবং মালিকের নাম-ঠিকানায় অসামঞ্জস্য আছে কি না ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠানও ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। ওয়েবসাইটে ট্রেড লাইসেন্সের কপি আছে কি না দেখতে হবে, যদি না থাকে তাহলে ট্রেড লাইসেন্স করা আছে কি না এবং থাকলে তার নিবন্ধন নম্বর কত তা জেনে নিতে হবে। কোনো বিকাশ নম্বরে মূল্য পরিশোধ করতে বললে নম্বরটি একাধিক নম্বর থেকে ফোন করে যাচাই করে নেওয়া ভালো। আর কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পণ্য দিতে বললে নির্দিষ্টভাবে পণ্য সরবরাহ যেন করা হয় এবং কেনার রসিদ দেওয়া হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। যেকোনো পণ্য কেনার ক্ষেত্রে আগে পণ্য সরবরাহ করে এবং তা পাওয়ার পর বিক্রয় প্রতিনিধিকে সরাসরি মূল্য পরিশোধ করা যায় এমন ওয়েবসাইট বা মাধ্যমগুলো নির্ভর করা ভালো।

কেনাকাটা যখন ফেসবুকেইদানীং ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ বা গ্রুপের মাধ্যমেও কেনাকাটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা করছেন। ফেসবুকে কেনাকাটা করতে হলে একই ধরনের অন্যান্য পেজের সঙ্গে তুলনা করে ধারণা নেওয়া উচিত এবং নিজের পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে বিশ্বাসযোগ্য পেজগুলো থেকে অর্ডার দেওয়া ভালো। কোনো পণ্য কিনতে হলে যদি পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধের সুযোগ না থাকে অর্থাৎ অগ্রিম মূল্য দিতে হলে অর্ডার নিশ্চিতকরণের কোনো উপায় আছে কি না জেনে নিন। এসএমএস-এর মাধ্যমে নিশ্চিত করতে বলতে পারেন। কোনো পণ্য কিনলে পণ্য বাবদ ক্রয়-রসিদের স্ক্যান কপি চাইতে পারেন এবং অনুরোধ করুন পণ্যের সঙ্গে যেন মূল কপিটি পাঠানো হয়। পণ্যটি কীভাবে পাঠানো হবে এবং কোন মাধ্যমে তা আগেভাগেই নিশ্চিত হতে হবে। মনে রাখা জরুরি, আইনের আশ্রয় নিতে গেলে কিন্তু প্রমাণ থাকা চাই।

মুক্তপ্রান  তথ্যভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা

গুণী

অনলাইন শপিংয়ে প্রতারণার শিকার হলে ভোক্তা অধিকারে ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ দিতে পারেন। বর্তমানে ইকমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলদেশ এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। হয়ত প্রতিকার পাবেন কিন্তু যেটুকু হয়রানী বা তিক্ত অভিজ্ঞতা হওয়ার তা হবে।

অনলাইন শপিংয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে এমন মানুষ খুজে পেতে খুব একটা কষ্ট হয়না। সকলেই কম বা বেশি প্রতারণার শিকার হন। এখানে একটু ভেবে দেখুন তো! আমরা প্রতারকের কাছে যাচ্ছি না প্রতারক আমাদের কাছে আসছেন?

অবশ্যই আমরা প্রতারকের কাছে যাচ্ছি তাই প্রতারণার শিকার হচ্ছি। যদি প্রতারকের কাছেই না যাই তবে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভবনাও নাই। এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে, প্রতারক চিনবেন কিভাবে? আপনার অনলাইনে প্রতারক চেনার কোন দরকার নাই, শুধু ভাল বিক্রেতা চিনতে পারলেই হবে। কিভাবে ভাল বিক্রেতা চিনবেন তার জন্য লিংকের আর্টিকেল টা পড়ুন।

অনলাইন শপিং; যে বিষয়গুলো জানা জরুরী।


অথবা,