বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।
( ৮০৯ বার দেখা হয়েছে)
Sakib Khan বেশ আছি তো
জ্ঞানী
সর্বপ্রথম কথা হলো আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তো খাতনা করা আপনার জন্য ফরয যা করাতেই হবে যার কোন বিকল্প নেই, বাধ্যতামূলক।
দ্বিতীয় কথা হলো এই ফরয কাজে মাকে সাহায্য করা আপনার উচিত। মুসলমান হয়ে আপনি আপনার মায়ের উপর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া জুলুম হয়ে যাবে। সন্তানের সঠিক বয়সে খাতনা করা একান্ত জরুরী।
গুণী
আমি স্কুলে পড়ি. মা বলেছে স্কুল খোলার আগেই আমাকে মুসলমানি দিয়ে দেবে. হাজামের সাথে নাকি কথা বলা হয়ে গেছে. আমি মুসলমানি নিতে চাই না. অনেকে আমাকে সাহস দেয়, ভয় পাস না, কিছু হবে না মুসলমানি নিলে. অনেকে আমাকে বলে মুসলমানি নিলে অনেক উপকার পাওয়া যায়. কিন্তু আমি কিছুতেই মুসলমানি নিতে চাই না, এটা আমার পছন্দ না. আমি মায়ের দুটি পা জড়িয়ে ধরে ভিক্ষা চাইলাম, "মা আমাকে প্লিজ মুসলমানি দিও না". কিন্তু মা এ ব্যাপারে আমার কোনো কথাই শুনতে চায় না, সে জোর করেই আমাকে মুসলমানি দিয়ে দেবে. সে যদি আমাকে মুসলমানি দিতে চায়, আমি শত চেষ্টা করলেও তা আটকাতে পারবো না. এখন আমি কি আইনিভাবে আদালতের কাছে আশ্রয় চাইতে পারি? যতদূর জানি দণ্ডবিধির ৩২৬ ধারা মতে কোনো ব্যাক্তি ছুরি দ্বারা অন্য কোনো ব্যাক্তির কোনো অঙ্গ বা গ্রন্থি কেটে ফেললে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হয় যার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড. এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৪ (২) (ক) ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যাক্তি কোনো নারী বা শিশুর মুখমন্ডল স্তন বা যৌনাঙ্গের বিকৃতি ঘটালে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে. আমার মা আমার দেহের মালিক না, তার দায়িত্ব আমার ভরণপোষণ করা. সে কি আইনানুগভাবে জোর করে আমার গায়ে স্থায়ী ট্যাটু করে দিতে পারে? যদিও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তিদের নিজ মতে নিজের গায়ে করানো স্থায়ী ট্যাটু অপরাধ হয় না. তেমনিভাবে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তি নিজ মোতে নিজের মুসলমানি করিয়ে নিলে তা অপরাধ হয় না, কিন্তু আমার মা কি আইনিভাবে জোর করে আমাকে মুসলমানি দিয়ে দিতে পারে? মা কি পারে তার ধর্মীয় আচার জোরপূর্বক সন্তানের উপর চাপিয়ে দিতে? নাকি আমি তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা লংঘনের দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি?