Preview
প্রশ্ন করুন

বেশতো সাইট টিতে কোনো কন্টেন্ট-এর জন্য বেশতো কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।

কনটেন্ট -এর পুরো দায় যে ব্যক্তি কন্টেন্ট লিখেছে তার।

...বিস্তারিত

( ৭ টি উত্তর আছে )

( ৪,৮১৫ বার দেখা হয়েছে)

প্রতিটি বিপদে আমাদের দেহ সিমপ্যাথেটিক রিফ্লেক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে রক্ষা করে, ঠিক তেমনি গরম কিছু হঠাৎ করে খেয়ে ফেলা। আমরা তা দ্রুতই মুখ থেকে ফেলে দেই বা গিলে ফেলি, এতে আমাদের মুখের ভিতরের মিউকাস মেমব্রেন বা চামড়ার আবরণটি খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় না, যেটুকু ক্ষতি হয় তা স্বাভাবিক ভাবেই সেরে যায়। মুখের বিতরের আবরণের পূণরুৎপত্তির ক্ষমতা অনেক বেশি, তাই সেটা দ্রুতই সেরে যায়। বড়জোড় ২ বা ৩ দিন লাগবে স্বাদগ্রন্থিগুলোর স্বাভাবিক কাজ করতে । জ্বলাপোড়া কিছুক্ষন করে, অল্প কিছুক্ষন পরেই তা সেরে যায়। কষ্ট কম করতে চাইলে হাল্কা ঠান্ডা পানি মুখে নিয়ে রাখতে পারেন। আর যদি টগবগে ফুটন্ত গরম পানি/ চা খেয়ে ফেলেন তবে দেরী না করে ঠান্ডা পানি মুখে নিয়ে রাখুন, নিকটস্থ মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে চলে যান। দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোন মলম/ওষুধ মুখের ভিতরে লাগাবেন না।

পাগলী  আমি নিজের সম্পর্কে কিছু জানলে ত কমু?

মহাগুরু

গরম চা কফিতে জিভ পুড়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এমন হলে সাথে সাথে ঠান্ডা কিছু যেমন আইসক্রিম, আইস কিউব পোড়া জায়গায় অন্তত একমিনিট ধরে রাখুন। এছাড়া ঠান্ডা দই ফ্রিজে থাকলে খেতে পারেন। এছাড়া আপনি কফ ড্রপস যাতে মেনথল আছে তা মুখে দিয়ে চুষতে পারেন। এটা লোকাল এনেস্থেটিক্স হিসাবে কাজ করবে। আর যদি এসব কিছুই না পান হাতের কাছে, ঠান্ডা পানি এক মিনিট মুখে ধরে রাখুন।

এইচ,এম,মাসউদুল আলম ফয়সাল  জাগ্রত বিশ্বকোলাহল-মাঝে গম্ভীর, স্তব্ধ, শান্ত, নির্বিকার

মহাগুরু

আমাদের মুখগহ্বরের ঝিল্লি নিজে থেকেই এ ধরনের মৃদু পোড়া বা ছ্যাঁক লাগাকে প্রতিরোধ করতে পারে। প্রথমে জ্বালা করলেও তা অচিরেই সেরে যায়। তবে গরম ছ্যাঁকা লাগার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি মুখে দিয়ে কুলি করলে আঘাত ও জ্বালা অনেক কমানো যায়। পোড়ার মাত্রাও কমে আসে। ক্যানালগ ইন ওরাবেস নামের মলম একটি কটন বাড দিয়ে ধীরে ধীরে জিব ও ভেতরের পোড়া অংশে প্রলেপ দিয়ে দিলেও দ্রুত সেরে যায়।

দীপ্তি  আমি শান্ত, সাম্য, আহ্লাদী, মিশুক, পরিপাটি, গোছালো, খুব নরম মনের একজন সাধারণ মানুষ :)

মহাগুরু

গরম খাবার খেতে গেলে অনেক সময় অসতর্কতাবশত জিহ্বা পুড়ে যায়, এটা অতি স্বাভাবিক। এতে জিহ্বা জ্বালাপোড়া করে এবং সহজে কমতেও চায় না। এ থেকে অনেক সময় মুখে শুকনোভাব, পানিশূন্যতা ইত্যাদি তৈরি হয়। সমস্যার সমাধান করা না হলে একপর্যায়ে মুখে দুর্গন্ধ বা দাঁতক্ষয়ের সমস্যা দেখা দেয়। এরকম পরিস্থিতিতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন অস্বস্তি দূর করতে। • আক্রান্ত স্থানে সরাসরি বরফের টুকরো লাগানো যেতে পারে। পাশাপাশি মুখের মধ্যে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে কুলিকুচি করা যেতে পারে। এভাবে সারা দিন কয়েকবার করা যেতে পারে। • আক্রান্ত স্থানে মধু লাগাতে পারেন কারণ মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী উপাদান। এতে জ্বালাপোড়াভাব ও প্রদাহ কমবে। পাশাপাশি এটি পরবর্তী সময়ে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করবে। • অ্যালোভেরা যে কোনো প্রকার ব্যথা কমাতে সহায়ক। জিহ্বা বা তালুর ক্ষতস্থানে লাগান এবং জিহ্বার ভেতরে একটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব আনবে। অ্যালোভেরা জেল মুখের মধ্যে ২৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে। • এরপর থেকে জিহ্বা পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তার উপর চিনি ছড়িয়ে দিন। দেখবেন খুব জলদি আরাম পাবেন এবং সেরে উঠবেন। • মুখ দিয়ে শ্বাস নিন জিহ্বা পুড়ে গেলে। এতে জিহ্বায় শীতলতা পাবেন এবং পোড়া ভাব দ্রুত সেরে উঠবে। • যথাসম্ভব ঠান্ডা জিনিস খাবেন, জিহ্বা পুড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দই খুব উপকারী। এটি দ্রুত শীতলতা প্রদান করে। আশা করি এসব টুকটাক উপায় অবলম্বন করে দ্রুতই প্রতিকার পেতে পারেন, তবে এতেও যদি ব্যথা না কমে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

রিংকু  প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে :P

মহাগুরু

ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত যা, পোড়ার ওপর পাতলা প্রলেপ তৈরি করে যা থেকে মুখের জ্বালা রোধ হয়।

অনম্য চৌধুরী  জানিনা কতকাল জেগে থাকি, কীভাবে সময়কে বেঁধে রাখি।

জ্ঞানী

বরফের টুকরো মুখে নিয়ে চাবাতে হবে